নিজস্ব সংবাদদাতাঃ-
বিএনপির বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহার হওয়ার পর প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরে পেয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপি নেতা আলহাজ্ব হান্নান সরকার গনমাধ্যমের কাছে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। সোমবার পহেলা ডিসেম্বর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি স্বৈরশাষকের শাষনামলে তার উপর নির্যাতনের বর্ণনা দেন।
তিনি বলেন,আমি ২৪ মাস নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হিসেবে জনপ্রতিনিধিত্ব করেছিলাম। কাউন্সিলর থাকালীন সময় আ'লীগ শাষনামলে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান দ্বারা অনেক নির্যাতন নিপিড়নের শিকার হয়েছি। অনেক সিদ্ধান্ত জোর করে চাপিয়ে দিত ওসমান পরিবার। কথা না শুনলে মামলা দিয়ে নির্যাতন করতো। ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সমরক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সমাবেশে আমাকে ও আমার সহযোদ্ধা সাবেক কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ও গোলাম নবী মুরাদকে চাপের মূখে উপস্থিত থেকে তার নির্বাচনে সমর্থন করতে বলা হয়। আমরা চাপের মূখে ওই অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করার অপরাধে বিএনপির হাই কমান্ড আমাদের ৩জন কাউন্সিলর ও উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলসহ মোট ৬ জনকে বহিস্কার করেন। তবে বহিস্কার হলেও আমরা শত বাধা উপেক্ষা করে আওয়ামী নির্যাতন সহ্য করে আমার প্রানের দল বিএনপির মিছিল মিটিংয়ে অংশ গ্রহন করেছি। ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর আমরা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি দলীয় হাই কমান্ডে পূণরায় সদস্যপদ ফিরে পেতে আবেদন করেছিলাম। দল আমাদের বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহার করেছে। আমি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আমি মৃত্যুর শেষ দিন পর্যন্ত বিএনপির সাথে থাকতে চাই। আগামী নির্বাচনে সবাই এক পতাকাতলে থেকে ধানের শীষকে বিজয়ী করে একটি সুশৃঙ্খল সোনার বাংলাদেশ গড়তে চাই। তবে আজ আমাদের মাঝে কোন উৎসবের আমেজ নেই। আমরা আজ ভারাক্রান্ত। কারন আমাদের দেশ মাতা বেগম খালেদা জিয়া অনেক অসুস্থ্য। আমাদের নেত্রীর জন্য দোয়া চাই। নেত্রী হারিয়ে গেলে আমাদের গোটা দেশই হারিয়ে যাবে।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন